Pages

Sunday, November 7, 2010

মোজাম্মেল হক সাহেব ভদ্রভাষায়ই আপনার পদত্যাগ চাই

মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলঃ মোজাম্মেল সুবিদ আলীদের বিরুদ্ধে
মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলঃ দেশবাসী রুখে দাঁড়াও ৭১ এর মতোই মোজাম্মেল সুবিদ আলীদের বিরুদ্ধে
মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলঃ দেশবাসী রুখে দাঁড়াও ৭১ এর মতোই মোজাম্মেল সুবিদ আলীদের বিরুদ্ধে
২ লক্ষ ৭০ হাজার মা'বোনের ইজ্জত আর ৩০ লক্ষ শহীদের তাজা রক্তে কেনা মহান স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে অক্ষুণ্ণ রাখার প্রশ্নে আর একটা যুদ্ধ হবে, সে যুদ্ধে স্থানীয় ৭১ এর পরাজিত পাকি ঘাতক দালাল ও দালালের বংশধর দুটোকেই পরাজিত করতে হবে। 📷 ১৯৭১ এ স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধ ছাড়া বাঙ্গালী জাতির কোন পথ খোলা ছিলনা। জাতিরজনক অনেক চেষ্টা করেছিলেন সকল বৈষম্য দূরীকরনের এবং একটি শান্তিপূর্ণ সমঝোতার মাধ্যমে অখন্ড পাকিস্তানকে টিকিয়ে রেখে ৬ দফা ও ১১ দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে অনেক সভা সমাবেশ আলাপ আলোচনা চালিয়েছিলেন কিন্তু ওরা সেটা চায়নি উপরন্তু বাঙ্গালীর উপর রাতের আধারে অতর্কিতে ২৫শে মার্চ গুলি করে হত্যা করেছিল হাজার হাজার বাঙ্গালী পুলিশ ও ই পি আর এর সদস্যদের। জাতিরজনকের যোগ্য উত্তরসূরি জননেত্রী শেখ হাসিনাও খালেদার সাথে ঠিক একই ভাবে অত্যন্ত বিচক্ষনতার সাথে সমঝোতা করার আপ্রান চেষ্টা করেছেন, অনেক ধৈর্য ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছেন। কিন্তু মূর্খ খালেদা সেই ইয়াহিয়া আর ভূট্টোর কুট কৌশলের পুনঃপ্রয়োগ করে এটাই প্রমান করল যে হ্যাঁ, খালেদা ৭১ এর ঘাতক দালালদের ই একজন প্রতিনিধি। এখন কি করা উচিত, তা' বর্তমান প্রজন্মের নাগরিকরাই সিদ্ধান্ত নেবে। "দেশ কি আবার পুনঃ সেই পশ্চিমা শোষকের হাতে ছেড়ে দেবে নাকি ২ লক্ষ ৭০ হাজার মা'বোনের ইজ্জত আর ৩০ লক্ষ শহীদের তাজা খুনের
মর্যাদা দিতে এগিয়ে আসবে? স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে কোন সরকার দ্বারা যে উন্নয়ন করা সম্ভব হয়নি, শেখ হাসিনার সরকার মাত্র ৫ বছরে তার চেয়ে ৪ গুন উন্নয়ন করে দেশকে আজ দক্ষিন এশিয়ার অন্যতম ধনি দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। আজ তাই হিংসায় জ্বলে পুড়ে মরছে বাঙ্গালী জাতির পুরনো শত্রু পাকিস্তান। ওরা ৭১ এর বদলা নিতে চায় জংগিবাদের আবাদ করে।
সে ৭১ ঘাতক দালালের বংশধর শিবিরকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আই এস আই উইংস কমান্ডো প্রশিক্ষন দিয়ে বাংলাকে বিধস্থ করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই ১৭ হাজার ক্যাডারকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করিয়েছে। এদের সাথে অনেক পাকিস্তানী জঙ্গিরাও গোপনে যোগ দিয়েছে। শাহবাগ কাটাবন মসজিদ থেকে দু’জন পাকিস্তানী জঙ্গি গ্রেফতার হওয়ার কারনে অনেক

গোপন তথ্যই বেড়িয়ে আসছে। 📷৭১ র শকুনের কালো হাত ভেঙ্গে দেবার দীপ্ত শপথে, সুদৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে আজ আবার ৭১ এর মতোই গর্জে উঠার সময় এসেছে। সমগ্র বাঙ্গালী জাতিকে ঐক্যবদ্ধভাবে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সোনার বাংলা রাজাকারমুক্ত করার লক্ষ্যে আবারও শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসাতেই হবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রতিষ্ঠা এবং সুখি সমৃদ্ধশালী ডিজিটাল বাংলাদেশ “রূপকল্প ২০৪১” বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগামী প্রজন্মের সোনালী ভবিষ্যত গড়ার একান্ত প্রয়োজনে নৌকার কোন বিকল্প নেই। নৌকায় ভোট দিতেই হবে, নইলে বাঙ্গালীর পরিচয় ভুলে যেতে হবে। ফিরে যেতে হবে সেই ভয়াবহ স্বৈরাচারী পশ্চিমা শোষকের যুগে। ফিরে যেতে হবে হাওয়া ভবনের সন্ত্রাস আর দুর্বৃত্ত্বের দুঃশাসনের নির্যাতন লুন্ঠনের যুগে। ঘরের বাড়ন্ত যুবতি কন্যার জীবন হয়ে উঠবে বিভীষিকাময়। হবে ধর্মের নামে সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদের উত্থান। লাশ হবে স্কুল কলেজে পড়ুয়া আগামী প্রজন্ম। মাঝ পথে থেমে যাবে শেখ হাসিনার উন্নয়নের দুর্বার গতি। দেশ যাবে আবার ১০০ বছর পিছনে। বিশ্বের কাছে আবারও আমাদের পরিচয় দিতে হবে দরিদ্র্য ভিক্ষুক জাতি হিসেবে। যা’ বিগত ১০ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার ঘুচিয়ে দিয়েছে ব্যাপকতর উন্নয়নের মাধ্যমে।
আর একটি কথাঃ মুক্তিযোদ্ধারা অনেকেই বলেন না যে “আমি মুক্তিযোদ্ধা ছিলাম”। কেউ বলেন কেউ বলেন না। আমি মাইক নিয়ে বলে বেড়াই "আমি মুক্তিযোদ্ধা কারন যে বয়সে যুদ্ধে গিয়েছি সেটি একজন যোদ্ধার বয়স ছিল না। সেটিকে বাৎসল্য বা ছেলেখেলা মনে করা যায়। ১৬ বছর বয়সে বাড়ীতে না বলে সংসারের ৬ ভাইয়ের সবচে' ছোট ছেলেটি মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহনের জন্য মুজিবনগরে যেতে পারে এটা ভাবা যায়না।" এর মূলেই ছিল অগাধ দেশপ্রেম। স্বাধীন বাংলাদেশে জাতির জনক থেকে শূরু করে ৭২ এর মন্ত্রী পরিষদের কেউ ছিলেন না যাদের সাথে আমি পরিচিত ছিলাম না। আমি যুদ্ধ দেখেছি নিজের চোখে, আমি ৭৫ এর রক্তের বন্যা দেখেছি নিজের চোখে। ২০০১ এক থেকে বি এন পি জামাত জোট সরকারের নির্যাতন লুন্ঠন দুর্নীতি দেখেছি নিজের চোখে। ক্ষুদ্র আমি অতি নগণ্য, যা'বুঝি, যেটূকু জানি তাই চরম সত্য দিবালোকের মতোই মানি। মাঝে মাঝে বাঙ্গালী জাতির উপর আমি ক্ষেপে যাই, আপনারা অনুভব করবেন হয়তো, কেন মুক্তি হঠাৎ করে মাঝে মধ্যেই উল্টা পালটা কথা বলে? আসলেই তাই, মাঝে মধ্যেই ঘুমের ঘোরে কেঁদে উঠি, কেন তা' জানি না, তবে সে ওই ১৫ই আগষ্টের কারনে এটা পরিস্কার বুঝতে পারি। এ সোনার মানুষটির জন্ম না হলে স্বাধীনতার প্রশ্নই উঠতো না। বঙ্গবন্ধু না হলে কার বজ্রকন্ঠের উদাত্ত আহবানে এই ঘুমন্ত বাঙ্গালী জাতি জেগে উঠতো? কেউ কি ছিলেন “ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলার সুস্পষ্ট তাগিদ দেবার?” কেউ কি ছিলেন তোমাদের "যা'কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে" বাংগালী জাতির অভিভাবক হিসেবে এমন পিতৃসূলভ নির্দেশ দানের? । কিন্তু আজকের এই জঙ্গিবাদী ভন্ড ইসলামের নামে মানুষ হত্যাকারী মৌলবাদীদের পেয়ারে দোস্ত বাংলার দ্বিতীয় মীর জাফর খন্দকার মোস্তাক আর তাহের উদ্দিন ঠাকুর গং রা আজো এই বাঙ্গালী জাতিকে পশ্চিম পাকিস্তানের গোলাম হিসেবে পা'চাটা ক্রীতদাস হিসেবেই গৃহবন্দী করে রাখতো যদি সেদিন তাজুদ্দিন আহমেদ হাল না ধরতেন। ইতিহাস কথা বলে। আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখেছি, আমি বঙ্গবন্ধুকে দেখেছি, আমি তাজুদ্দিনকে দেখেছি, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেখেছি।
আমি বাঙ্গালী জাতির কালের ইতিহাসের পাতার কোন এক পৃষ্ঠার ছোট্ট একটি অক্ষর "মুক্তি" “সব কথার শেষ কথা, বাঁচাতে নিজের মাথা, স্ত্রী পুত্র বন্ধু ভ্রাতা গর্জে ওঠো, যথা তথা” প্রত্যেক ঘরে ঘরে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে মহল্লায় ইউনিয়নে, পথে কিংবা প্রান্তরে, মাঠে ঘাটে, এখানে সেখানে । রুখে দাঁড়াও, জঙ্গিরা যেখানে। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু। মুক্তিযোদ্ধা কণ্ঠশিল্পী মোকতেল হোসেন মুক্তি, সভাপতি, সময়'৭১ প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মালদ্বীপ আওয়ামী লীগ। সহ সভাপতি কেন্দ্রীয় কমিটি বাংলাদেশ আওয়ামী তরুণ লীগ  

যুদ্ধাপরাধী আবু সাঈদের নতুন ফতোয়া নিয়ে ব্রিটেনে বিতর্ক

war criminal abu saeed
সৈয়দ আনাস পাশা, লন্ডন করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডি
লন্ডন: ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালে হত্যা, ধর্ষণ ও মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী আবু সাঈদের দেওয়া নতুন এক ফতোয়া নিয়ে ব্রিটেনে শুরু হয়েছে বিতর্ক। ব্রিটিশ আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এই ফতোয়া এক বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি দাড় করিয়েছে ব্রিটেনের মডারেট মুসলমানদের।
 
এই ফতোয়া রাজনীতি সচেতন মানুষকে নিয়ে গেছে ৭১ এ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে আবু সাঈদসহ তাঁর দোষরদের মানবতা বিরোধী অপকর্মের সময়কালে।
 
বিবাহ সম্পর্কের মধ্যে হলেও জোড়পূর্বক যৌনকর্মের চেষ্টা ব্রিটেনে বেআইনি হলেও শরিয়া কাউন্সিল অব ব্রিটেন এর প্রধান অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী আবু সাঈদ সম্প্রতি ব্রিটেনের জনপ্রিয় সমসা ব্লগ এ দেয়া এক সাক্ষাতকারে এর বিরুদ্ধে ফতোয়া দিয়ে ব্রিটেনের পুলিশ প্রশাসনসহ সর্বত্রো হইচই ফেলে দিয়েছেন।
 
আবু সাঈদ বলেছেন বিবাহ সম্পর্কের মধ্যে জোড়পূর্বক যৌনকর্মের চেষ্টাকে ধর্ষণ হিসেবে গন্য করা যায় না, বড়জোড় অশোভন বা অসভ্যতা বলা যায়, এর বেশি কিছু নয়। তিনি এই বিষয়টিকে ইসলামে বেআইনী বা নিষিদ্ধ বলতে নারাজ।

আবু সাঈদ তাঁর ফতোয়ায় বলেন, বিবাহ সম্পর্কের মধ্যে পারষ্পরিক সমঝোতার বাইরে যৌন সম্পর্ক কোন ক্রিমিনাল অফেন্স নয়। বিবাহ সম্পর্কের মধ্যে ধর্ষণ নামক কোন শব্দ নেই, হতে পারে এটি আক্রমনাত্মক বা অশোভন। এটির জন্যে দায়ী পকে অপরাধী বলা যাবে না।
 
কারণ যখন একজন নারী-পুরুষ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়, তখন তারা এই মর্মে একমত হয়েই বিবাহ করে যে, যৌন সম্পর্ক বিবাহেরই একটি অংশ। সুতরাং বিবাহ সম্পর্কের মধ্যে যৌন সম্পর্ক বিরোধী কোন বিষয় থাকতে পারে না। অবশ্য স্বামী-স্ত্রী কোন একজনের ইচ্ছের বিরুদ্ধে যৌনকর্ম করা ঠিক নয়, এটি অশোভন। তবে ইসলামের দৃষ্টিতে বেআইনী নয়। 

সাঈদ বলেন,  বিবাহ সম্পর্কের মধ্যের অনিচ্ছাকৃত যৌনকর্মকে ধর্ষণ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করছে ব্রিটেন। এই ধারণা তাঁরা নিয়েছে পশ্চিমা বিশ্বের তথাকথিত সম অধিকারের স্লোগান থেকে। মানুষের ব্যক্তিগত ইচ্ছে অনিচ্ছার ক্ষেত্রেও তারা সমঅধিকারের বিষয়টির অপব্যবহার করছে। আমি মনে করি এটিও একটি আগ্রাসন। বিবাহ সম্পর্কের মধ্যে কোন পরে অনিচ্ছাকৃত যৌনকর্মের চেষ্টাকে ধর্ষণ বলাও একটি আগ্রাসন। এটি ছোট আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বড় আগ্রাসন। 

সাঈদ বলেন ধর্ষণ ব্রিটেনে বেআইনি। এর শাস্তি তিন, পাঁচ বা তার চেয়েও বেশি কারাদণ্ড। বিবাহ সম্পর্কের মধ্যের অনিচ্ছাকৃত যৌনকর্মের চেষ্টাকেও যদি ধর্ষণ বলা হয় তাহলে এটি ইনসাফ হতে পারে না। এটি হবে ছোট্র আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বড় আগ্রাসন। 

তিনি বলেন, ইসলাম মনে করে এটি ঠিক নয়। কারন বিবাহ মানেই যৌন সম্পর্কের অনুমতি। এতে কোন পক্ষ যদি অন্যপরে অনিচ্ছায়ও তা করতে চায়, তা বিবাহ চুক্তির কোন লঙ্ঘন নয়, বড়জোড় অসুন্দর। 

এদিকে, অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী আবু সাঈদের এই ফতোয়ার কথা প্রকাশ হওয়ায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে ব্রিটেনের বিভিন্ন মহলে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় আবু সাঈদদের মানবতা বিরোধী অপকর্মের অভিযোগের কথা উল্লেখ করে বিভিন্ন ব্লগে প্রচারিত মন্তব্যে বলা হয়, এ ধরণের ফতোয়া আবু সাঈদরা দিতে পারেন, এটি ৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা প্রমাণও দিয়েছেন। 

কোন কোন মন্তব্যে ১৯৯৫ সালে বিবিসির চ্যানেল ফোর-এর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তৈরী যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক ডকুমেন্টারিতে ব্রিটেনে বসবাসরত তিন যুদ্ধাপরাধী চৌধুরী মঈনুদ্দিন, আবু সাঈদ ও লুৎফুর রহমানের মানবতা বিরোধী অপরাধের বিবরণের কথা উল্লেখ করে ঐ সময়ের ইউটুব ফুটেজও ব্যবহার করা হয়। 

ব্রিটেনের মডারেট মুসলমানরাও আবু সাঈদের এই ফতোয়ায় বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখিন হয়েছেন। অনেকে ধারণা করছেন, সম্প্রতি লন্ডনে অনুষ্ঠিত মুসলিম কমিউনিটির একটি সেমিনারে কনজারভেটিভ পার্টির চেয়ারম্যান পাকিস্তানী বংশোদ্ভুত সাঈদা ওয়ারসিকে আসতে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুনের বাধাও আবু সাঈদের ঐ ফতোয়ার প্রতিক্রিয়া। 

গত মার্চ মাসে চ্যানেল ফোর এ প্রচারিত ব্রিটেন ইসলামিক রিপাবলিক ডকুমেন্টারির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বাংলানিউজকে কেউ কেউ বলছেন, ইসলামিক চরমপন্থিদের পরিকল্পনার অংশও হতে পারে সাঈদের এই ফতোয়া, যা ব্রিটেনের মুসলমানদের প্রতি আরো সন্দেহ বাড়িয়ে দেবে ব্রিটিশদের। 

রেইপ ফর দ্যা অ্যাসোসিয়েশন অব চিফ পুলিশ অফিসার-এর মূখপাত্র ও চেশায়ারের চিফ কনস্টেবল ডেইভ ওয়াটন বলেছেন, শরিয়া আইন ব্রিটিশ আইনের বিকল্প হতে পারে না। আবু সাঈদের নতুন ফতোয়া ধর্ষণের শিকার মহিলাদের আইনের আশ্রয় নিতে নিরুৎসাহিতই করবে, এই সমস্যা সমাধানে কোন ভূমিকা রাখবে না। 

এখানে উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় আল বদর বাহিনীর নেতা হিসেবে সিলেটে বিভিন্ন মানবতা বিরোধী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন বলে আবু সাঈদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।