SUPPORT AWAMI LEAGUE
নাসির ধ্রুবতারা
বুধবার ১৪ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে রাত ১০ টা ০৩ মিনিটে প্রকাশিত
একজন প্রতিমন্ত্রীর ফেসবুক প্রতিক্রিয়া ও প্রবাসী নাজমুলকে উদ্ধারের গল্প
নাসির ধ্রুবতারা
বুধবার ১৪ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে রাত ১০ টা ০৩ মিনিটে প্রকাশিত
একজন প্রতিমন্ত্রীর ফেসবুক প্রতিক্রিয়া ও প্রবাসী নাজমুলকে উদ্ধারের গল্প
নাছির ধ্রুবতারা, বাংলাদেশ প্রেস || 'নেত্রকোণার নাজমুল দীর্ঘ আট বছর ধরে বৈধভাবে মালেশিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাগানে কাজ করে আসছেন। একসময় ভালো বেতনও পেয়েছেন। সাড়ে তিন একর বাগান পরিচর্যা বাবদ ওভারটাইমসহ দিনপ্রতি ৭৫ রিংগিটও আয় করেছেন। সম্প্রতি মালিক বেতন কমাতে কমাতে দিনপ্রতি ১৫ রিংগিটে নামিয়ে এনেছেন, যা দিয়ে তার খাওয়ার খরচও হয়না। নাজমুল দেশে চলে আসতে চাইলে তার গত কয়েকমাসের বেতন ও পাসপোর্ট আটকিয়ে দেয় মালিক। থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ হাসে।
নাজমুল দূতাবাস চিনেন না, কারও নম্বরও জানেননা। কেউ একজন তাকে এই পেইজের নম্বর দিয়েছে। ফোনে অভুক্ত নাজমুল কান্নার শক্তিও পাচ্ছিলেননা। অশিক্ষিত নাজমুল এই শিক্ষিত দাসত্ব থেকে মুক্তি চান। পাসপোর্ট নিয়ে বৈধভাবে বাংলাদেশে ফেরত এসে মাথা উঁচু করে হালচাষ করে জীবন ধারণ করতে চান...
'কয় বেলা না খাইয়া আছি জানিনা স্যার, ক্ষুধায় ঘুম আসেনা স্যার... দেশে গিয়া হালচাষ করে খামু, আমারে নিয়া যান স্যার...' পোস্টটি ছিল ম্যাজিস্ট্রেট অল এয়ারপোর্টস বাংলাদেশ ফেসবুক ফ্যান পেইজের। পেইজটি পরিচালনা করেন এয়ারপোর্টের কয়েকজন ম্যাজিস্ট্রেট। নাজমুলের বক্তব্য লিখে তাঁরা পোস্ট করে পেইজে। এসময় কেউ একজন ফেসবুকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমকে ট্যাগ দেন। এরপরেই প্রতিমন্ত্রী সেখানে 'অন ইট লিখে' বোঝান তিনি বিষয়টি আমলে নিয়েছেন। পেইজটির পক্ষ থেকে লেখা হয়,‘ধন্যবাদ স্যার। অধীর আগ্রহে বসেছিলাম কখন ধন্যবাদ দেব। জানতাম, অন্তত আপনি না এসে পারবেন না।’
ইশতিয়াক হিমন নামে একজন মন্তব্যে করেন, ‘একজন প্রতিমন্ত্রী জনগণের সাহায্যে ফেসবুকে সাড়া দিচ্ছেন এটা আমার দূরতম কল্পনাতেও ছিল না! সত্যিই আমরা বদলাচ্ছি, দেশটা বদলাতে কতক্ষণ!’
এরপরে কি হলো? কি হতে পারে? মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের ঘোষণা আস্থা রাখতে চান না তাই তো? কিন্তু প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সময় নেন নি, তারমধ্যেই আপডেট খবর এসে হাজির। মালয়েশিয়ার সেই বাড়ি থেকে নাজমুলকে উদ্ধার করা হয়েছে।
মিনহাজ উদ্দিন নামে একজন নাজমুলের ছবি পোস্ট করে তাকে উদ্ধারের ঘটনা জানান। যেখানে নাজমুলকে হাস্যোজ্জ্বল মুখের ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সাথে লেখা হয়েছে- 'মালয়েশিয়া অবস্থানরত শ্রমিক নাজমুল সাহেবের আকুতি শুনে মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগ থেকে গতকাল রাতে যোগাযোগ করি। মালয়েশিয়ার পেরাকের সুদূর তেলুকিন্তান থেকে নাজমুল সাহেব এখন কুয়ালাম্পুরে আমার বাসায় আছে সুস্থ আছেন। আগামীকাল বাংলাদেশ হাই কমিশনে নিয়ে যাব। হাই কমিশন বলল ওনার জন্য যা যা করা দরকার সব করবে।যদি দেশে যেতে চাই তার ব্যাবস্থাও করা হবে অথবা এইখানে বেতন উদ্ধার করে নতুন ভাবে সেটেল করা হবে।
নাজমুল দূতাবাস চিনেন না, কারও নম্বরও জানেননা। কেউ একজন তাকে এই পেইজের নম্বর দিয়েছে। ফোনে অভুক্ত নাজমুল কান্নার শক্তিও পাচ্ছিলেননা। অশিক্ষিত নাজমুল এই শিক্ষিত দাসত্ব থেকে মুক্তি চান। পাসপোর্ট নিয়ে বৈধভাবে বাংলাদেশে ফেরত এসে মাথা উঁচু করে হালচাষ করে জীবন ধারণ করতে চান...
'কয় বেলা না খাইয়া আছি জানিনা স্যার, ক্ষুধায় ঘুম আসেনা স্যার... দেশে গিয়া হালচাষ করে খামু, আমারে নিয়া যান স্যার...' পোস্টটি ছিল ম্যাজিস্ট্রেট অল এয়ারপোর্টস বাংলাদেশ ফেসবুক ফ্যান পেইজের। পেইজটি পরিচালনা করেন এয়ারপোর্টের কয়েকজন ম্যাজিস্ট্রেট। নাজমুলের বক্তব্য লিখে তাঁরা পোস্ট করে পেইজে। এসময় কেউ একজন ফেসবুকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমকে ট্যাগ দেন। এরপরেই প্রতিমন্ত্রী সেখানে 'অন ইট লিখে' বোঝান তিনি বিষয়টি আমলে নিয়েছেন। পেইজটির পক্ষ থেকে লেখা হয়,‘ধন্যবাদ স্যার। অধীর আগ্রহে বসেছিলাম কখন ধন্যবাদ দেব। জানতাম, অন্তত আপনি না এসে পারবেন না।’
ইশতিয়াক হিমন নামে একজন মন্তব্যে করেন, ‘একজন প্রতিমন্ত্রী জনগণের সাহায্যে ফেসবুকে সাড়া দিচ্ছেন এটা আমার দূরতম কল্পনাতেও ছিল না! সত্যিই আমরা বদলাচ্ছি, দেশটা বদলাতে কতক্ষণ!’
এরপরে কি হলো? কি হতে পারে? মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের ঘোষণা আস্থা রাখতে চান না তাই তো? কিন্তু প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সময় নেন নি, তারমধ্যেই আপডেট খবর এসে হাজির। মালয়েশিয়ার সেই বাড়ি থেকে নাজমুলকে উদ্ধার করা হয়েছে।
মিনহাজ উদ্দিন নামে একজন নাজমুলের ছবি পোস্ট করে তাকে উদ্ধারের ঘটনা জানান। যেখানে নাজমুলকে হাস্যোজ্জ্বল মুখের ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সাথে লেখা হয়েছে- 'মালয়েশিয়া অবস্থানরত শ্রমিক নাজমুল সাহেবের আকুতি শুনে মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগ থেকে গতকাল রাতে যোগাযোগ করি। মালয়েশিয়ার পেরাকের সুদূর তেলুকিন্তান থেকে নাজমুল সাহেব এখন কুয়ালাম্পুরে আমার বাসায় আছে সুস্থ আছেন। আগামীকাল বাংলাদেশ হাই কমিশনে নিয়ে যাব। হাই কমিশন বলল ওনার জন্য যা যা করা দরকার সব করবে।যদি দেশে যেতে চাই তার ব্যাবস্থাও করা হবে অথবা এইখানে বেতন উদ্ধার করে নতুন ভাবে সেটেল করা হবে।
No comments:
Post a Comment